নিকষ কালো
হুমায়রা হারুন
মারফির ঘুমটা ভেঙে গেল প্রচন্ড এক বিস্ফোরণের শব্দে। টেবিল ক্লকে সময়টা
দেখবার চেষ্টা করলো। রাত ১ টা বেজে ৪৫ মিনিট। জানালার পর্দা সরিয়ে
বাইরে চোখ রাখলো। ইচ্ছে করছে বাইরে যাবার, কিন্তু সে উপায়ও নেই।
ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ। প্রচন্ড শীতে আবৃত হয়ে আছে টরন্টোর কাছে
মিসিসাগা শহরটি। কিন্তু বাইরে কি হলো ভেবে আর ইচ্ছে করছে না ঘরে বসে
থাকতে। বাইরে বেরুতেই হবে। শীতের জ্যাকেটটা গায়ে দিয়ে মারফি বেরিয়ে এলো
ওর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে। দূরের নিকষ কালো আকাশে রক্তিম আভা। দু’ব্লক
পরেই রয়েছে একটা নির্মানাধীন বাড়ি। সেখানেই কি কিছু হলো? এই শীতে তুষার
পাড়িয়ে মারফি হাজির হলো ৪১০ নম্বর ব্র্যাম্পটন হাইওয়ের কাছে। বিধ্বস্ত
হয়েছে পুরো বাড়ীটা। নির্মানাধীন বলে লোকজন কেউই ছিল না এতরাতে। তাই
হতাহতের সংখ্যা শূন্য। কিন্তু ১ মিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতির কারণ
নির্ধারণে যদি পুলিশরা সফল না হয়
তাহলে এরকম অগ্নিকান্ডের শঙ্কা দিন দিন বৃদ্ধিই পাবে।
তারিখ ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯
একটি ডকুমান্ট ওপেন করলেন সার্জেন্ট ক্রিস হ্যারি।সময় রাত ২ টা বেজে ৩৫
মিনিট। ফাইলটির প্রথম লাইনে লিখলেন দুটি শব্দ।
‘সন্দেহজনক অগ্নিকান্ড’
দ্বিতীয় লাইনে,
‘স্থান
৪১০ নম্বর ব্র্যাম্পটন’
তৃতীয় লাইনে কিছুই পেলেন না লেখার মত। কারণ কোন তথ্যই তার দল উদ্ধার
করতে পারেনি এ যাবত। কিছুক্ষণ ভেবে উইন্ডোজ বন্ধ করতে গিয়ে দেখলেন
আরেকটি ফোল্ডার। নাম
‘উইপিপেগ।’
এ ফোল্ডারটিও শূন্য। কোন তথ্যই এ পর্যন্ত জোগাড় হয়নি। উইনিপেগের ১৪০০
বাসিন্দা ২০০৯ এর গোড়ার দিকে তাদের রাতের আকাশে সিগার আকৃতির শব্দবিহীন
একটি স্পেসক্রাফট উড়ে যেতে দেখেছিল। শুধু মানুষের চোখে নয়, র্যাডারেও
এর অস্তিত্ব ধরা পড়েছিল। কিন্তু তদন্তের ফলাফল শূন্য। খানিকটা আনমনা
হয়েই সার্জেন্ট হ্যারি উইন্ডোটি বন্ধ করে দিলেন। পাশে রাখা ব্রিফকেসটি
তুলে নিয়ে কাঁচের দরোজা ঠেলে বেরিয়ে এলেন অফিস থেকে। আজ আন্ডার
গ্রাউন্ড ট্রেনে বাড়ি ফিরবেন। গাড়ীতে ড্রাইভ করে বাড়ি ফিরতে সময় লাগে
দু’ঘন্টা
আর ট্রেনে যেতে বিশ মিনিট।
শহরের শেষ প্রান্তে তার বাড়ী। এই মিনিট বিশেক দূরন্ত ট্রেনে বসে থাকতে
গিয়ে মাঝে মাঝে হাঁপিয়ে উঠেন তিনি। তখন পত্রিকা বা বই হয় তার সঙ্গী।
কিন্তু আজ ট্রেনে বসে কিছুতেই মন বসাতে পারছেন না বইতে। একটার পর একটা
আনসলভড মিস্ট্রি আর ভাল লাগছে না। মাথায় হাত রেখে জানালার কাছে হেলান
দিয়ে এসব কথা ভাবতে ভাবতে
হঠাতই জানালার কাঁচ দিয়ে বাইরে তাকালেন। মাটির নীচের সুড়ঙ্গ ধরে নিকষ
কালো অন্ধকারে পাতাল রেল ছুটে চলছে এক অসম্ভব গতিতে। আজ যেন ট্রেনের
গতিটা একটু বেশি মাত্রায় অস্বাভাবিক ঠেকছে।
ট্রেন চালক জন স্টুয়ার্ট স্থির মনোনিবেশে ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করছেন।
নাইট শিফটে তিনি এ কাজের সাথে যুক্ত আছে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে। প্রতিদিন
একই রুটিন । শহরের একপ্রান্ত থেকে যাত্রী অপর প্রান্তে পৌঁছে দেয়া।
ঘড়িতে সময় দেখলেন রাত ২ টা বেজে ২০ মিনিট। সামনে তাকালেন আবার। কিন্তু
কেমন যেন মনে হল, যেন সামনের অন্ধকারটুকু আর তার কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে
না। এ যেন আরো অনেক বেশী কালোয় ছেয়ে যাওয়া এক অচেনা অন্ধকার।
এত নিকষ কালো আধাঁর তিনি আগে কখনো দেখেন নি। সুড়ঙ্গ পথের
বাতিগুলো কি সব নিভে গেল নাকি? কিন্তু কেন তা হবে? পাওয়ার ফেইলিওর এর
তো প্রশ্নই আসেনা। তাহলে তো ট্রেন চলাই থেমে যেত। জানালা খুলে আশপাশ
বুঝার চেষ্টা করলেন। খুব হালকা মনে হচ্ছে নিজেকে। অনেকটা যেন ওজনহীন।
চলার পথে লোহার পাতের সাথে চাকার সংঘর্ষে যে বিকট শব্দ সৃষ্টি হয় তাও
যেন শোনা যাচ্ছে না। অথচ ট্রেন তো
চলছে অবিরাম গতিতে। আর মাত্র তিন মিনিট। তারপরই যাত্রী নামিয়ে
ফিরতি পথে রওনা হবেন জন। আর বাড়ির পথে পা বাড়াবেন সার্জেন্ট হ্যারি। এত
রাতে উনি ছাড়া কোন যাত্রীও নেই এই ট্রেনে। কর্মক্লান্ত বেলা পেরিয়ে এই
বাড়ি ফেরার মুহূর্তটি ভীষণ ভাবে উপভোগ করেন সার্জেন্ট। মাত্র তো আর
তিনটি মিনিট। আবারো ঘড়ি দেখলেন তিনি। সময়টা পেরুতে চাইছে না কেন? এমন
মনে হচ্ছে কেন, যেন সময় আজ মান করে তার চলা থামিয়ে ঠাঁয় বসে আছে। আজ
যেন সে কিছুতেই এগুবে না। ঘড়ির দিকে আবারো চাইলেন তিনি। কাঁটা যেন
হঠতাই থেমে গেছে। বেশ খানিক্ষণ আগে দেখলেন রাত ২ টা বেজে ২০ মিনিট।
এখনও তাই? ভুল দেখেননি তো? কিন্তু তা কি করে হয়? বিশ মিনিটেই বাড়ি
পৌঁছে যান তিনি। আর সে সময় তো এতক্ষণে পারও হয়ে গেছে। তাহলে ঘড়ি কি
সময়ের হিসেব আর করতে পারছে না, নাকি তার হিসেবে ভুল হচ্ছে? বড্ড যেন
দীর্ঘ মনে হচ্ছে আজকের এ যাত্রা। কোন ভাবেই যেন পথ আর শেষ হতে চাইছে
না। নিজেকে অসম্ভব হালকা ঠেকছে নিজের কাছে। জানালার কাঁচ দিয়ে বাইরে
তাকালেন আবার। ট্রেনটা যেন উন্মত্ত গতিতে ছুটে চলছে। কিন্তু কোথায়, কোন
গন্তব্যে? তার বাড়ীর স্টপেজই তো শেষ স্টপেজ। এই স্টপেজ ছাড়িয়ে ট্রেন তো
আর এগুবে না। ফেরত আসবে মিসিসাগা শহরে। বিরামহীন এ ছুটে চলা তাহলে কেন?
কোন উদ্দেশে ? এমারজেন্সী বাটনে চাপ দিলেন ট্রেন থামানোর সংকেত
দিয়ে। সময় আরো কিছুক্ষণ পার হলো কিন্তু থামার নাম নেই। সংকেত দেখে গতি
কমানোর চেষ্টা করলেন ট্রেন চালক। সামনে তাকালেন। নিকষ কালো আধাঁরে
অসংখ্য ঘন কালো বুদবুদ ভেসে বেড়াচ্ছে তার চারিদিকে। অদৃশ্য এক শক্তি
যেন টেনে নিয়ে যাচ্ছে মোহনীয় আকর্ষণে আরো গহীনে তার নিজের ভেতরে
সীমাহীন ঘন অন্ধকারে। যতই সামনে এগুচ্ছে ততই যেন ট্রেনের গতি বেড়ে
চলছে। অথচ পথ যে শেষ হচ্ছে না। চালক জন স্টুয়ার্ট
চমকে উঠলেন ব্যপারটা খেয়াল করে। তিনি তার ট্রেন সহ কি মিশে
গেছেন অন্য কোন জগতে নাকি প্রবেশ করেছেন ব্ল্যাকহোলের অজানা সুড়ঙ্গপথে?
এর কেন্দ্রের সীমাহীন আকর্ষণে এ যাত্রার গতিরোধ তো তাহলে অসম্ভব
ব্যপার। কিন্তু কি ভাবে এমন হল?
কার ইশারায়? হায় ইশ্বর!
মোবাইলে কল করলেন একমাত্র যাত্রী সার্জেন্ট হ্যারিকে। কিন্তু কি
আশ্চর্য, বৈদ্যুতিক তরঙ্গগুলো যেন তাদের অবস্থান থেকে নড়তে চাইছে না।
ফোনটা বাজছে না। অথচ ট্রেন থামাবার সংকেত তো ঠিকই জ্বলে উঠেছে। উপায় না
দেখে জন পেছনের দরজা দিয়ে যাত্রী কক্ষে প্রবেশ করলেন। কক্ষটি বেশ
প্রশস্ত হওয়া সত্ত্বেও আজ কেন জানি একে আকারে লম্বাটে আর সরু দেখাচ্ছে।
সার্জেন্টকে দেখে একটু অবাকই হলেন তিনি। আজ তাকে এতটাই লম্বা দেখাচ্ছে
যেন মনে হচ্ছে তার দীর্ঘ অবয়ব ট্রেনের ছাদ ছুঁয়ে ফেলবে। ব্ল্যাকহোলের
তীব্র মহাকর্ষীয় বলের চাপে বস্তু তার আকৃতিও হারাবে এমন কথা তিনি কোথায়
যেন পড়েছিলেন। শুধু আকৃতি হারানোই নয়, বস্তু প্রচন্ড চাপে পিষ্ট অবশেষে
বিলীন হয়ে যাবে অসীমতায়। কিন্তু এগুলো তো বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব যা শুধু
বইয়ের মাঝে গাণিতিক সমীকরণে সীমাবদ্ধ থাকে। বাস্তবে কি হয়? বস্তু আসলেই
কি আকার পরিবর্তন করতে করতে চিপসে যেতে পারে? এ প্রশ্ন ট্রেনের একমাত্র
যাত্রী সার্জেন্ট হ্যারির মনেও উদয় হল ঠিক একই সময় যখন কিনা ট্রেন চালক
জন স্টুয়ার্ট তার সামনে এসে দাঁড়ালেন। এই মাঝারী গড়নের গোলগাল
লোকটি কেমন যেন চিপসেটে হয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এমন
মনে হবেই বা কেন। নির্ঘাত দৃষ্টিভ্রম। দুজনেরই দৃষ্টিভ্রমে দেখতে পাওয়া
দুজনের প্রায় বিলীন অবস্থা আজ বাস্তব হয়ে যে তাদের সামনে ঠাঁয়
দাঁড়িয়েছে তা তারা ভাববার দুঃসাহসও করলেন না। অথচ দুজনের অস্তিত্ব ,
অনুভূতি এখনই যে হারাবার দ্বারপ্রান্তে। এ উপলব্ধির আগেই কৃষ্ণগহবরে
নিপতিত তাদের ট্রেনটি পাতলা কাগজের মতন এক সমতল বস্তুতে পরিণত হলো এবং
আরো সংকুচিত হয়ে কুঁকড়ে বিন্দুসম আকৃতি ধারণ করে কৃষ্ণগহবরের
রাহুগ্রাসে নিপতিত হলো। শহরের সকলে পরেরদিন আরেকটি খবরে বিস্মিত হলো।
আর তা হলো-গতকালের রহস্যময় অগ্নিকান্ডের পর তদন্তকারী পুলশ অফিসার
নিরুদ্দেশ । শুধু তাই নয়। নাইট শিফটের ট্রেন চালক জন স্টুয়ার্ট ও তার
যাত্রীগামী পাতাল রেলেরও হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
২
সকালের খবর পড়ে মারফির মন কিছুটা খারাপ হয়ে গেল। ৪১০ নম্বর
ব্র্যাম্পটনের অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত নির্ণয় অসম্ভব হতে পারেনা। জানার
সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে কিন্তু কারণ নিশ্চয়ই আছে। আর সেই পুলিশ অফিসারের
নিরেদ্দেশ হয়ে যাওয়া তদন্তের ঠিক পরপরেই-এ যেন আবছা একটা যোগসূত্র তৈরী
করে ফেলেছে। যারাই অগ্নিকান্ড ঘটাক না কেন তারাই চায় না এর তদন্ত হোক।
তাই পাতাল রাস্তা ধরে ছুটে চলা ট্রেনটিকে উধাও করে দিয়েই তারা যান
সর্বান্তকরণে নিশ্চিত হয়েছে এ তদন্তের সীমারেখা টেনে দিতে। আর সেই
পাতাল রেলের সুড়ঙ্গপথে
প্রবেশের এক অদম্য ইচ্ছা এখন মারফিকে পেয়ে বসেছে। যাবে সে ওখানে
যেভাবেই হোক। না হয় প্রয়োজন হলে রেল ইঞ্জিনিয়ারের ছদ্মবেশ ধরেই প্রবেশ
করবে ওই প্রবেশ নিষেধ এলাকায়। এসব আকাশ পাতাল চিন্তা করতে করতেই মারফি
তার গাড়ীটার স্টার্ট অন্ করলো। গাড়ীটা স্টার্ট নিতে গিয়েই থেমে গেল।
আবারো চেষ্টা করলো। সবই ঠিক ঠাক কিন্তু তারপরও গাড়ী যেন কিছুতেই
স্টার্ট নিচ্ছে না। যেন আজ তার মন চাইছে না মারফিকে নিয়ে অজানা
গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করে মারফি
সিদ্ধান্ত নিল পায়ে হেঁটেই যাবে ঐ স্পটে যেখানে পাতাল সুড়ঙ্গ পথের
সূচনা হয়েছে। গাড়ীর দরজাটা লক্ করে ঘুরে দাঁড়াতেই হোঁচট খেল কিসের যেন
একটা হ্যাচকা টানে। ওর কোটের আস্তিনটা দরজার ভেতরে আটকে আছে। এমন কেন
হচ্ছে? যেন তার প্রিয় মন্টিকার্লো- ২০০৩
তাকে আটকে রেখে আজ বারণ করছে কোথাও যেতে। মারফি হেসে ফেলল নিজ
মনে। গাড়ী কি মানুষ নাকি যে বাধা দেবে, নিষেধ করবে, বারণ
না শুনলে জামার আস্তিন ধরে আটকানোর চেষ্টা করবে। নিশ্চয়ই নয় ।
অথচ প্রাণহীন জড় মন্টিকার্লোর দেহের অভ্যন্তরস্থ পরমাণুগুলো তো
স্পন্দনহীণ নয়। সে স্পন্দনে অনুরণন আছে। সেই অনুরণনে যদি তৈরী হয়
অনুভূতিসম্পন্ন বোধ তার প্রভাব কি অনস্বীকার্য? আর এ বোধ
যদি পরিচালিত হয় প্রকৃতির নির্দেশে তাহলে নির্দেশ গ্রহণ ও পালন
করবার মতো ক্ষমতাও প্রতিটি বস্তুকণার রয়েছে তা সে জড়ই হোক আর জীবই হোক।
তাই বুঝি মন্টিকার্লো তার অনুভূতি দিয়ে আজ ঠিকই আঁচ করতে পেরেছে কিছু
একটা ঘটবার। মারফির যাত্রাপথকে রোহিত করছে তাই বারবার, বেশ কয়েকভাবেই।
কিন্তু মারফি কি সেই সংকেত অনুধাবন করতে পেরেছে, যাতে ছিল মারফিকে বলা
অনেকগুলো কথা । যেখানে বলা হয়েছে পাতাল রেলপথের অস্বাভাবিকতার কথা, যা
কিনা সেই সুড়ঙ্গকে ঠেলে ক্ষণিকের জন্য হলেও যুক্ত করে ফেলে ছায়াপথের
কেন্দ্র বরাবর ঠিকানাবিহীন অন্য কোন ডাইমেনশানে, যে কিনা নিমেষে শুষে
নেয় সবকিছুর অস্তিত্ব, হরণ করে সকল অনুভব । যেখানে অচকিতে স্থানান্তর
ঘটে যায় অন্য কোন জগতের সাথে, যেখানে আজই
প্রবেশ করেছেন সার্জেন্ট ক্রিস হ্যারি তার কাজের রহস্য কিনারা
না করতে পেরেই। যেখানে প্রবেশ করেছেন ট্রেন চালক জন স্টুয়ার্ট কিছু না
জেনেই। যে জগতে নেই আলো, শুধুই অন্ধকার। যে জগত নিকষ কালো, জীবনের
ওপার। যেখান থেকে আর ফেরা যাবে না। কিন্তু তারা জানবেও না তাদের এ
যাত্রা অন্তহীন, সময়ের উর্ধ্বে। আজ মারফিও যাবে সেখানে । প্রবেশ করবে
সেই জগতে। প্রকৃতি বোধহয় তা চাইছে না, তাই বাধা দিয়েছে বারবার । কিন্তু
মারফির তীব্র কৌতুহল তাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে সেই অজানা উদ্দেশে তারই
অজান্তে।