সাবরিনা সিরাজী তিতির
আমি ফরিদপুর থাকি । পুরো নাম সাবরিনা সিরাজী তিতির ।
শাহিনা হাফিজ ডেইজী
লেখালেখির তেমন একটা অভিজ্ঞতা নেই। বাংলাদেশের মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই এর মাঝে প্রায় হারিয়ে যাওয়া ৭১ এর গণহত্যা ,যুদ্ধ অপরাধ , লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্ত ঋণের কথা হঠাৎ করে একদিন ভীষণভাবে মনে করিয়ে দিল এক যুদ্ধপরাধীর নাম, আলি আহসান মুজাহিদ। ২০০৮ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়, নির্বাচন কমিশনের সামনে দাঁড়িয়ে সে বলল বাংলাদেশে কোন যুদ্ধপরাধী নেই । আমার বোনের ছেলে আরেফিন ক্ষিপ্ত হয়ে বলল ,'এর জবাব দিতে হবে।’ ' আমাদের রক্তে জ্বলে উঠল আগুন , নতুন করে আবার জানতে শুরু করলাম ।চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে নির্মিত হলো ‘আল-বদর’। ভয়ঙ্কর দুঃসাহসিক কাজ । আজ ভাবি, সেদিন কে আমাদের এত সাহসী করে তুলেছিল ? সেক্টর কমান্ডার ফোরাম সারা বাংলাদেশে ৫০০ কপি সিডি ছড়িয়ে দিলেন । প্রচার হল, মানুষ জানলো অনেক না জানা ভয়ঙ্কর সত্য, তারপর থেকে অবিরাম পথ চলছি সত্যের সন্ধানে । কারিগরি জ্ঞানের প্রয়োজন দেখা দিল। শিক্ষা নিলাম বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্সটিটিউটে (ফিল্ম আপ্প্রিসিয়েসন ও ব্যবহারিক চলচ্চিত্র নির্মাণ) । এরপর দেশে নতুন সরকার এল । শেখ হাসিনা দেশের প্রধান মন্ত্রী । ভাবলাম এখন এ দেশের সব ভাল করবার দায় পড়ল ওঁর উপর । এক সময় তাঁকে মনে হল মিথের মত যেন গ্রীক দেবী ইলেক্ট্রা । ভাবনাগুলো সাজিয়ে নির্মাণ করে ফেললাম তথ্য চিত্র 'হাসু' । এ জন্ম দিল আর নতুন কিছু কাহিনী , এখন শুধু অবিরাম কুয়াশা ফুরিয়ে নদীর রেখার পাড় লক্ষ্য করে চলা ।
Elena Mia Elena
ফিরোজা হারুন
জন্মঃ জানুয়ারি ১, ১৯৪৪, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার হরিরামপুর গ্রামে। স্নেহময় পিতা জনাব আব্দুস সোবহান বিশ্বাস ও মাতা জুবাইদা খাতুনের ছায়ায় বেড়ে ওঠা।শিক্ষাঃ ময়মনসিংহ বিদ্যাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। তারপর টাঙ্গাইলের কুমুদিনী কলেজ হতে বি.এ. পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইতিহাসে এম. এ. সমাপ্ত করে ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ফর উইমেন থেকে বি. এড. ডিগ্রী অর্জন এবং ঢাকায় আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে যোগদান। এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জননী ফিরোজা হারুনের সাহিত্য অঙ্গনের অগ্রযাত্রার মূলে প্রেরণা যুগিয়েছে তাঁর স্বামী ডাঃ মোহাম্মদ হারুন। তাঁর প্রথম উপন্যাস 'জীবনেরে কে রাখিতে পারে' সাপ্তাহিক রোববারে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশের পর ১৯৯৭ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে। আর আন্তর্জালে প্রকাশ পেয়েছে ২০০৮ সালে। দ্বিতীয় প্রকাশিত উপন্যাস ২০০০ সালে 'সুখের লাগিয়া'। ২০০৮ এ প্রকাশিত হয়েছে আরো ছয়টি গ্রন্থ। কিশোর সংকলন -মেঘরাজা রোদরাজা, কাব্য সংকলন-নিশি লোর, উপন্যাস-প্রতীক্ষা, তিন পুরুষের গল্প, স্মৃতির দুয়ারে এবং গল্প ও প্রবন্ধ সংকলন-ছিন্ন বীণার তার। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি সমাজকল্যাণ মূলক কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন তাঁর মায়ের স্মৃতিস্মরণে একটি প্রাইমারি স্কুল তাঁরই নিজ গ্রামে।
********
আবদুল হাকিম
[লেখাটিতে ঈ, ঊ, ণ, ং, শ –এ পাঁচটি অক্ষর ব্যবহার করা হয়নি-আবদুল হাকিম]
সৈসব কেটেছে পিতার কর্মস্থল দেসের বিভিন্ন জায়গায়। স্কুল ও কলেজ জিবন জন্মস্থান মাগুরাতে। স্নাতকোত্তর ঢাকায়। ছাত্রজিবনে প্রথমে ছবি আঁকা,পরে নাটক,আবৃত্তি ও সাহিত্য চর্চা। ছবি আঁকা, নাটক ও আবৃত্তিতে পুরস্কার লাভ। সেই সুত্রে চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রকার আলমগির কবির পরিচালিত ঢাকা ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৭৪ সালে ফিল্ম এয়াপ্রিসিয়েসন কোর্স সমাপ্ত করে তাঁর কয়েকটি ছবিতে সহকারি হয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা। প্রথম গ্রন্থ,ছোটদের জন্য লেখা কেমন করে স্বাধিন হলাম প্রকাসিত হয় ১৯৮৯ সালে। এরপর প্রথম উপন্যাস এখনো গর্ভে তোমার প্রকাসিত হয় ২০০০ সালে। ২০০১ সালে প্রকাসিত হয় দ্বিতিয় উপন্যাস তখন । তৃতিয় উপন্যাস কেন প্রকাসিত হয় ২০০২ সালে। কাব্য সঙ্কলন আকাস রঙ স্বপ্ন ও প্রবন্ধ সঙ্কলন বাঙলা বানানে ভাইরাস ইলেকট্রনিক সঙস্করনে প্রকাসিত হয় যথাক্রমে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে। আবদুল হাকিম বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসি।
***
কোয়েল সাহা
নাম , ধাম, বয়স, জন্ম সময় বিবিধের ভিড়ে আমি হারাতে চাইনি কোনদিন,তাই আমার
পরিচয়...এক নগন্যা নারী। লেখার আনন্দে লিখি, সৃষ্টিসুখের সন্ধানে লিখি,আর ভাগ
করে নিই সেই রচনা, আমার জগতজোড়া বন্ধুদের সাথে। বাবা মা, নাম রাখলেন কোয়েল। বড়
হলাম কলিকাতা শহরে।পড়াশুনা, কাজ ,সংসার সবই আমার শহর গণ্ডির ভেতর। ভ্রমন নেশায়
মজতে ভালো লাগে।। তাই ব্যাগ সদা তৈরী। সময় পেলেই, পাহাড়, সমুদ্র, নদী র সাথে
দেখা করতে বেরিয়ে পড়ি, সপরিবারে। অবসর সময়ে, কাগজ, কলম সঙ্গী। নিজমুখে নিজের
পরিচিতি, এর বেশী কিছু নেই। বাকিটা না হয়, কবিতার মোড়কেই দেব।
আদুরী
নাক চ্যাপটা, চোখ জাপানী
ছোট্ট একটা মেয়ে।
নিজের সাথেই খেলত নিজে
খেলনা পুতুল নিয়ে।
কথায় কথায় গাল ফুলুনি
রাগ কান্নার বন্যা।
বলত কেবল,"চলেই যাবো,
রিক্সা ডেকে আন না”।
রান্নাদিদির কোলে বসে
বেলত চৌকো রুটি,
বাবা ফিরলেই...আদর করে
দিতো রুটি দুটি।
মা বলত,কাচা রুটি দেয়না খেতে সোনা
বাবা বলত, সাবাস সাবাস,আর দুটো দে’না!!
- কোয়েল সাহা।
***
পার্থসারাথি ভৌমিক
সে কোন ছোটবেলায় , মায়ের মুখে রামায়ণ , মহাভারত , বেতাল পঞ্চবিংশতি , ঈশপের নীতিকথা শুনতে শুনতে ...। বাবা শুনিয়েছিলেন Shakespeare এর ‘Merchant Of Venice ’ থেকে ‘‘This bond doth give thee here no jot of blood ;The words expressly are ‘‘a pound of flesh’’,……… ’’ . সেই প্রথম ‘যুক্তি’ সম্বন্ধে গ’ড়ে ওঠে ধারনা। তারপর ছিল’ আড়াই বছর বয়স থেকে ‘গোপামাসি'-র কাছে কবিতা আবৃত্তি শেখা । তখন থেকেই বিভিন্ন আবৃত্তির প্রতিযোগিতায় শংসাপত্র লাভ । কলকাতা থেকে কৃষ্ণনগর আর গরিফা থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে – বনগাঁয় , কবিতা শোনাতে ছুটোছুটি । ১২ বছর বয়সে বেতার শিল্পীর পরিচয় । ...... আস্তে আস্তে কিভাবে যেন এক অবিচ্ছেদ্য ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়া, কবিতার সাথে । কলেজ জীবনে রাজনৈতিক ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া অন্যতম কাজ ছিল’ । তখন থেকেই একটু আধটু লিখতে চেষ্টা করা । প্রথম লিটল ম্যাগাজিনে ২০ বছর বয়সে আত্মপ্রকাশ।
কি যেন একটা , কে যেন একটা, আমার মধ্যে দাপাদাপি করে । চেনার চেষ্টা করি । পথ চলতি হঠাৎ থমকে শব্দ । মুখ ভাঙচুর , মুখোমুখি নাব্যতা , ডুব । আরও গভীর , হৃদয় মস্তিষ্ক দ্রবীভূত একাকার ! আঁচড় ।।
পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।এখন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি , মিত্র এস কে প্রাইভেট লিমিটেড - এর বিজনেস ম্যানেজার এর ভূমিকায় । ব্রাঞ্চ, মুম্বাই ।
এই জীবন টা কবিতা দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে কিছু বলে যেতে চায় । আর সেই সাথে অবশ্যই চায় সমাজের প্রতি অন্যায় অবিচার কে রুখতে ।।
**************
সাইফুজ্জামান
সাইফুজ্জামান কবি, সমালোচক ও গবেষক l জন্ম ১০ জানুয়ারী ১৯৬২, মাগুরা l শিক্ষা: বি এ অনার্স, এম এ (ইতিহাস), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়l সাইফুজ্জামান ৮০'র দশক থেকে জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত লেখালেখি করছেনl এক জেলা শহরে কৈশোর ও যৌবনের প্রথম ভাগ কেটেছে l পিতার কর্মসূত্রে বাংলাদেশের সর্বত্র ঘুরে বেড়িয়েছেন l সম্পাদনা করেছেন শব্দ, সংবর্ত, ট্র্যাপ, তুরুপ সাহিত্য কাগজ l আলস্য ও অভিমান থেকে কখনো লেখালেখি হতে দুরে সরে গিয়েছেন l আবার ফিরেও এসেছেন l অতৃপ্তি নিয়ে লিখছেন l সাইফুজ্জামান অপেক্ষায় আছেন ভালো লেখাটি তৈরী করার জন্যে l তিনি জাতীয় জাদুঘরের ইতিহাস ও ধ্রুপদী শিল্পকলা বিভাগে সহকারী কিপার হিসাবে কর্মরত রয়েছেন l
********
এ কে এম সাইদুজ্জামান
Diogenes the Cynic এর মতো ভাবতে ভালবাসি, "আমি এই পৃথিবীর নাগরিক l" অবাস্তব ভাবনা বৈকি? যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যানাডার বিভিন্ন শহরে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা এবং সিভল এঞ্জিনিয়ারিং পেশায় আমি সর্বদাই সাময়িক এক কর্মজীবীl সর্বদা সাময়িক আর চিরস্থায়ী বস্তুত একই বস্তু বলে বোধ করি l জীবিকা অর্জনের তাগিদে সিভল এঞ্জিনিয়ারিংয়ের নিরস কর্মকান্ড আমার জীবনে এক স্থায়িত্ব দখল করে ফেলেছেl সেই যৌবন থেকে ভেবেছি মিস্তিরিগিরি সাময়িক দুএকটি বছর করে পাকাপোক্ত ভাবে সাহিত্য জগতে ঢুকে পড়ব - বাস্তব তা হতে দেয়নি l আর সামান্য একটু বেশি সাহস থাকলে ভদ্র গোছের একজন লেখক হতে পারতাম হয়তো l ১৯৭৯ সালে প্রথম লিখেছি, ১৯৮০-১৯৮১ তে একালের নামকরা লেখকদের সাথে সেকালে সাহিত্যের দারুন আড্ডা দিয়েছি - এই স্মৃতিটুকু সম্বল করেই এই বুড়ো বয়সে সাহিত্যের পথে আমার এই বিলম্বিত যাত্রার শুরু l আমার সাহিত্য রচনা যাঁরা পছন্দ করেছেন, কাকতালীয়ভাবেই তাঁদের অনেকেই জীবনের কোনো এক সময় নিদারুন মস্তিস্ক বিকৃতির প্রমান রেখেছেন, আর এ ব্যাপারটাও ফলত আমাকে বেশ নিরুত্সাহিত করেছে l গোটা দুয়েক বই, ডজন খানেক রচনা আমার ছাপা হয়েছে - তবে তা সাহিত্যের নয়, বাংলা ভাষায়ও নয় l ইংরেজি এবং রুশ ভাষায় লেখা ওই রচনাগুলো l গোটা চারেক ছোট গল্প বাংলায় লিখিয়ে নিয়েছে আমার বন্ধুরা, তা ছাপানোর ব্যবস্থাও তাঁরাই করেছেন l পাঠকদের কেউ কেউ আবেগে মন্তব্য করেছেন সব কটি লেখাই নাকি শ্রেষ্ঠ l এরকম মন্তব্য আমাকে নিরুত্সাহিতই করেছে এতকাল l যদি সত্যিই আমার লেখাগুলো ভালো হয়ে থাকে তবে হয়তো পঞ্চম লেখাটি আর সেরকম ভালো হবে না l
১ l কেন লিখি? পাঠকের অনুরোধের ঢেকি গিলি l
২ l আমার প্রিয় লেখক - বাংলা সাহিত্যে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, রচনা "কাগজের বউ"; ইংরেজি সাহিত্যে ফিলিপ রথ, রচনা "দ্য ডায়িং এনিম্যাল"; রুশ সাহিত্যে ইভান বুনিন, রচনা "ভালোবাসার ব্যাকরণ (грамматика любви)" l আমি নিজে খুবই খারাপ ধরনের পাঠক - কোনো রচনার বিষয়, কাঠামো, কৌশল, শব্দ নির্বাচন আমার মনে না ধরলে পড়তে ইচ্ছে করে না তা সে যত বড় লেখকের রচনাই হোক না কেন l
৩ l ইন্টারনেট বাংলা সাহিত্যকে অবশ্যই উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেবে বলেই আমি বিশ্বাস করি l পাঠকের বিবেচনা শক্তি বাড়বে, ভালো লেখার ক্ষুধা-তেষ্টা বাড়বে - সৃষ্টি বাড়তে বাধ্য যখন তার প্রয়োজন তীব্র হতে থাকে l
8 l বাংলা সাহিত্যের অতীত এবং ভবিষ্যত দু'কালই মারাত্মক উজ্জ্বলl বর্তমান কালটাই শুধু একটু বেশি সময় নিচ্ছে ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নিতেl
৫l যে লেখক ভালো লিখতে পারেন তিনি বাধ্য লিখতেl না লিখলে তার শাস্তি হওয়া উচিত, হয়ও বটেl যে লেখক ভালো লিখতে পারেন না, তার উচিত লেখার লোভ সামলানো l বাংলা সাহিত্যে অধুনা নামকরা অনেক লেখকের স্থানে আমি থাকলে লেখালেখি স্থায়ী ভাবে বাদ দিয়ে দিতাম l বড় পাপ হয় যা তা লিখে পাঠকের হাতে দিলে, বড় পাপ হয় সাহিত্য, বিজ্ঞান বা প্রকৌশলকে শুধুই ব্যবসায় পরিণত করলে l
৬ l বর্তমান প্রজন্মের কাছে আমার প্রত্যাশা? বর্তমান প্রজন্মকে আরও একটু স্থির, আরো একটু বিবেচক, আরো একটু প্রশিক্ষিত দেখতে পেলে ভালো লাগতো l
৭ l একদিন লেখক হবার স্বপ্ন দেখেছিলাম - হতে পারিনি l অন্য অনেক কিছু লিখে লিখে জীবন কেটে গেলো, সাহিত্যের লেখা হলো না - হবে না - হয়তো যোগ্য নই l
****************
সাগর জামান
শৈশবে অগ্রজদের সাহিত্য চর্চায় অনুপ্রাণিত হয়ে এই আগুনে হাত পোড়ানোর সুত্রপাত। স্কুল জীবন থেকে লেখালেখির সূচনা । সম্পাদনা করেছি ‘আলোকের এই ঝর্ণাতলে’, ‘অমল ধবল দিন’, ‘ফিরে আসি মাটির টানে’, ‘নীল আকাশ সোনালী রৌদ্র’ প্রভৃতি সাহিত্য কাগজ। বাংলাদেশের সব শীর্ষ লেখকদের পাশাপাশি নতুনদের লেখা স্থান পেয়েছে এসব সাহিত্য কাগজে। নব্বই দশক থেকে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকাগলো যেমন প্রথম আলো, ভোরের কাগজ, আজকের কাগজ, যায় যায় দিন, বাংলাবাজার পত্রিকা,জনকন্ঠে লেখালেখি করছি। রোদ্দুরময়ী প্রতাপে পুড়ে যায় মনণশীলতার প্রান্তর। রোদ্দুর আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। প্রতিদিন বিনষ্ট হয় হৃদয় কোমলতা। অপ্রকৃতস্থ রাজনীতি, অস্থির বিশ্ব, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি আমাদের যাপিত জীবনে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। এই বিপর্যস্ততার মধ্যেও সৃষ্টি সুখের উল্লাসে নিজেদেরকে আবিষ্কার করার প্রাণান্ত চেষ্টা। সে কারণে হয়তো কার্তিকের অমল কুয়াশা ধারায় অবগাহনের মোহন উদ্দেশ্যে মিলিত হওয়া। এই মহা মিলন নিশ্চয়ই আমাদের আনন্দ বেদনার সহজ ভাগাভাগির সহায়ক হবে। দেখা হবে সৃজনশীলতার মধ্যে।
***
শুভেন্দু দেবনাথ
নাম শুভেন্দু দেবনাথ, জন্ম ১৯৮৩ সালের ১৪ই এপ্রিল হুগলী জেলার চুঁচুড়াতে। পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, বর্তমানে কর্ম সুত্রে দিল্লী প্রবাসী। লেখা শুরু ঠাকুরদার অনুপ্রেরনায়।ঠাকুরদা বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব রঞ্জন দেবনাথ অরফে অগ্রদূত। স্কুলের শিক্ষা শেষ করে দিল্লী চলে আসা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এবং এখানেই চাকরিতে যোগদান। নেশা ঘুরে বেড়ানো, বই পড়া, ছবি তোলা আর কবিতা লেখা। সময় সুযোগ পেলেই আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে কারণ আদিবাসীদের জীবন আমাকে টানে। অদের মধ্যে থেকেই খুঁজে পাই জীবনের মানে।
***
অরুণোদয় কুণ্ডু লেখক পরিচয়
– নাম অরুণোদয়। ধাম হাওড়া , পশ্চিমবঙ্গ , ভারতবর্ষ আর কাম প্রযুক্তিবিদ্যার ছাত্রগিরি । এখন প্রশ্ন আসে সাহিত্যে আমার কাম কি? কাম নেই আছে ভালবাসা , ছোটবেলা থেকে। জীবনটা নদীর মত বয়ে যায়, তার কর্মমুখর পথের দুধারে অববাহিকার শস্য শ্যামল সাহিত্য তার সবুজ রঙ্গিন হাত দিয়ে জড়িয়ে রয়েছে আমার হৃদয়। সেই সবুজের পূজা ই আমার সাহিত্য । কখনো তা ভোরের গৈরিক রঙে ত্যাগ মন্ত্রে দীক্ষা ; কখনো বিকেলের কনে দেখা রোদে ঘরে ফেরার গান । কখনো প্রতিজ্ঞা ,কখনো হাসি কখনোবা অভিমান ।কখনোবা তা বীরমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে মানবাত্মার কল্যানের খোঁজে ফেরার । এসব নিয়েই আমার সাথে সাহিত্যের জমজমাট প্রেম । তার সাক্ষাতকারের সাক্ষী হতে বারন নেই কারোর। তাইতো সে আজ “কার্তিকের কুয়াশা” এর দরবারে , একমুঠো দমকা হাওয়ার ভালবাসা নিয়ে।
***
বেদানুজ চক্রবর্তী
জন্ম পশ্চিমবঙ্গের হুগলীতে। শৈশবে মায়ের মুখের গল্প আর গান সাহিত্যের জগতে প্রবেশের চাবিকাঠি । লিটল ম্যাগাজিনে আত্মপ্রকাশ আঠারো বছর বয়সে। অনুরাগী পাঠক। আবৃত্তিকার। ভালবাসেন রবীন্দ্রনাথের গান। হাতে খড়ি পদার্থবিদ্যায়। বর্তমানে ভারতীয় স্টেটব্যাঙ্কে কর্মরত। “ Art for Art’s sake “ এই মতাদর্শের পাশাপাশি বিশ্বাস করেন মানবধর্মে । সাহিত্য সে ধর্মে উত্তরণে সহায়ক বলেই লেখক মনে করেন। *** সনাতন দাস জন্ম ১৯৭১ । পিতার প্রশ্রয়ে শৈশব থেকে যাত্রা , নাটক ও কবিতার প্রতি ভালোবাসার ভিত । মা পিসিমার মুখে ভারত ভ্রমন ও পৌরাণিক কথকতার পাঠ, গল্পের টান তার লেখায় বীজের মতো । স্থানীয় পত্রিকায় কবিতা লেখা স্কুল জীবনেই, প্রকাশ বিমুখ অন্তরমুখী স্বভাবের কারনে মাঝে কিছু সময়ের যতি । আবার সময়ান্তরে (নাট্য) শিল্প চর্চার তাগিদ তাকে পৌঁছে দেয় নান্দীকার (কলকাতা) নাট্য গোষ্ঠীতে , এখানে বহু গুণীজন সান্নিধ্যের ফলে বহুমুখী দর্শনের সাথে তার পরিচয়, সেখান থেকেই শুরু সংশ্লেষণের পথ খোঁজা । স্বপ্ন, সামগ্রিক মানবতায় লুকিয়ে থাকা সামাজিক জীবনের আশার আলো খোঁজা , তাই তার কবিতায় ভাবের ভিন্ন ভিন্ন সুর বাজে, সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার মানব প্রেমের সাধনার ' সংকলিত কলম ' । গুনী বন্ধু জনের পৃষ্ঠপোষকতায় আবার মূর্ত রুপের প্রতীক্ষায় ...মুদ্রন যন্ত্রের অন্তরে অপেক্ষারত ।